নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদরাসায় ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে এক অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিলে, বৃহস্পতিবার ওই মাদরাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা, একটি মনিটরসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি জব্দ করে পুলিশ।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানিয়েছেন, “মাদরাসায় থাকা ১০০ থেকে ১৫০ জন ছাত্রীকে আজকের মধ্যে পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে কওমি মাদরাসা বোর্ড।”
বৈঠকে মাদরাসার পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ইউএনও আরও জানান, বোর্ড নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, দেশের কোনো নারী কওমি মাদরাসায় আর সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না।
যশোর জার্নাল
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ আসিফ আকবর সেতু।
(যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি, যশোর)
মোবাইলঃ +৮৮ ০৯৬৯৬০৭০৩৯১
Gmail: jashorejournal@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত