মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধী,মামুন হোসেনঃ

মধ্যবর্তী সরকারের ঘোষনা মোতাবেক দরজাই কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।সময়ের সাথে সাথে প্রতিটি আসনের প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব নির্বাচনী এলাকাতে জনসংযোগ।সংসদীয় আসনে স্ব স্ব প্রার্থী তার পাল্লা ভারি করতে কষে চলেছেন যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগ।

জনকল্যানমূখী কাজের সুবাধে জনগনের আস্থা অর্জনে কেউ ব্যাস্ত,আবার নিজের ভালো কাজের পাশাপাশি তার নিকটতম সংসদীয় প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর দোষগুন নানান ভাবে প্রচার করে মানুষের কাছে অযোগ্য প্রমান করতেও দেখা যায় হরহামেশ।ভিত্তিহীন অভিযোগ সহকারে অর্থের বিনিময়ে অনেকে আবার কৌশলীপন্থায় জনমনে প্রতিদ্বন্দীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা সৃষ্টি করে চলে মগজধোলাই।বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ধারাবাহিক এ কুট-কলা-কৌশলীর ছন্দপতনের চক্রান্তের সম্মূখীন হয়েছেন যশোর-৫ মণিরামপুর সংসদীয় আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন।ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সকালে কয়েকজন সাংবাদিককে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে এমনটাই দাবী করছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নিজেই।রাজনীতিতে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির "ব্লাক ডায়মন্ড" খ্যাত এ নেতা দাবি করছেন গতকাল মধ্যরাত থেকে সোস্যাল মিডায়াতে "রাতদিন নিউজ" নামধারী একটি আইডি থেকে তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও সংবাদ প্রচার করেছে।যা মণিরামপুরে "টক অব দ্যা টাইম"হয়ে দাড়িয়েছে।আলোচনা-সমালোচনাই সত্য/মিথ্যা যাচায়ে বিপাকে পড়েছে সাধারন মানুষ সহ দলীয় নেতাকর্মীরা।এড শহীদ ইকবালের একান্ত (পিএস) হারুনের দেওয়া তথ্য ও"রাতদিন নিউজ" এর প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায় মণিরামপুর বাজারের ভাগ্যকূল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও উপজেলার হাজিরহাটের ঘের ব্যবসায়ী আরজান উভয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ তুলেছে।তবে ভুক্তভোগী উভয়ের অপর ২টা ভিডিওতো পাওয়া গেলো ভিন্নতা।ভাগ্যকূলের অসীম ও ঘের ব্যবসায়ী আরজান বলছেন কোন এক "পান্না" ব্যাক্তি তাকে চাপ প্রয়োগে ঐ স্টেটমেন্ট দিতে বাধ্য করেছিলেন।এদিকে রাতদিন নিউজের প্রচারিত ঐ ভিডিওতে জনমনে নেতিবাচক/ইতিবাচক নানান সব রহস্যঘেরা মন্তব্যে ভারি হয়ে উঠেছে সংসদীয় আসন যশোর ৫ মণিরামপুর নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ।মণিরামপুর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির তৃনমুল থেকে শহর কেন্দ্রীক সকল নেতা কর্মীরা দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে একে অপরের সম্পর্কের অবনতিতে পতিত হচ্ছে।

গতকাল সকাল হতে একটি মাত্র আইডি(Dinratnews দিনরাত নিউজ) এর প্রচারিত ভিডিও শেয়ার,কমেন্টসের বিপরীতে ভুক্তভোগী উভয়ের দেওয়া চাপ প্রয়োগে নেওয়া স্টেটমেন্টকে মিথ্যা বলে এড শহীদ ইকবাল হোসেনের পক্ষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় রিতীমত ঝড় তুলেছে।

অসীম বলছেন,গেলো ৫ই আগষ্টের দিন কয়েকজন যুবক তার কাছে চাঁদা দাবী করার পর অপারকতা স্বীকারের পর তার দোকান বন্ধ করে দিলে অসীমের মা শহীদ ইকবালকে বিষয়টি খুলে বলার পর দায়িত্ব নিয়ে ভুক্তভোগীকে দোকান খুলতে বলেছিলো।সে থেকেই কোন রকম ঝামেলা ছাড়া ব্যাবসা চলমান রেখেছেন অসীম।

নেতিবাচক এ ভিত্তিহীন নিউজের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপজেলাবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান করেছেন যশোর-৫ মণিরামপুর আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন।