সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধি, ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও বেশি | যশোর জার্নাল অভয়নগরে ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে অসুস্থতা: দোকানি গ্রেফতার | যশোর জার্নাল সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: বিচারের অপেক্ষায় এক যুগ | যশোর জার্নাল নরসিংদীতে গণপিটুনির প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে হত্যা | যশোর জার্নাল যশোরে ঈদের দিন সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত চারজন | যশোর জার্নাল যশোরে যুবকের লাশ উদ্ধার: পাশে মোটরসাইকেল ও কাঠের টুকরা |যশোর জার্নাল যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার | যশোর জার্নাল সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সাথে ইফতার করলেন পুলিশ সুপার যশোর | যশোর জার্নাল যশোরে শিশু অপহরণের মূলহোতা আটক, মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার | যশোর জার্নাল নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন যশোর জেলা পুলিশ | যশোর জার্নাল

দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে ২৬ কোটি ডলার | যশোর জার্নাল

ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-এ তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদাও কমেছে।

এর প্রভাবে গত দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস (মোট) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো প্রবাসী আয় আসছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর – এ তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।
আগের দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে দুই হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দুই হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার।
এ প্রবাসী আয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের বড় অংশ নিজেদের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে।
পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক বিনিয়োগের অর্থ ও সহায়তার ডলার থেকেও রিজার্ভে জমা হয়। এর বাইরে রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের উৎস। তবে রপ্তানি আয়ের ডলারের প্রায় পুরোটাই আবার কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্ট থেকে আবার প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের চাহিদা কিছুটা কমে; নিজস্ব উৎস থেকেই চাহিদা মেটাতে থাকে। একই সময়ে জ্বালানি কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম দ্বারস্থ হতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দ্রæত ক্ষরণ কমতে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত